নৌকো

 

‘’Almustafa, the chosen and the beloved, who was a dawn into his own day, had waited twelve years in the city of Orphalese for his ship that was to return and bear him back to the isle of his birth. And in the twelfth year, on the seventh day of lelool, the month of reaping, he climbed the hill without the city walls and looked seaward; and he beheld his ship coming with the mist.’’

আমার নৌকো আসছে না, যাচ্ছে না। ভাড়ার নৌকোটা সরু নদীর একটা এলেবেলে অখ্যাত ঘাটে শুধু অল্প অল্প দুলছে। টাইট করে শিকল দিয়ে বাঁধা পাড়ের ইয়া পেল্লাই অর্জুন গাছটার সঙ্গে। যা থেকে ভাড়া পাওয়া যায়, তার কদর হয়। আহা রে জোয়ারের জলে ভেসে যাওয়া কিশোর! ভাড়ার জীবন ছিল না বলে,  বাঁচার জন্য হাতের কাছে তেমন কিছুই পেল না। ওই নৌকো থেকে টুপ করে অগাধ জলে পড়ে মিলিয়ে গেল। সেসব যদিও বহু আগের ঘটনা। তবু সে কেমন করে যেন টিকে গেছে। গ্রামের মানুষের গল্পে, অন্তরের বিশ্বাসে। জীবন-মৃত্যু, চেতন-অবচেতন, দেখা-নাদেখার মাঝে মাকড়শার জালের মতো মিহি পথ ধরে প্রতি রাতে সে ফিরে ফিরে আসে। নদী, নৌকা, অন্ধকার রাত তার খেলার জায়গা। মাঠের শিয়ালগুলো হঠাৎ হঠাৎ ডেকে উঠছে। ঝিঁঝিঁ ডাকছে। বাঁশ বাগানে শিরশির সরসর হাওয়ায় সে এসেছে। নৌকোর বিচ্ছিরি আলোটা নিভিয়ে দিলেই, সে লাফিয়ে নৌকোয় উঠে বসবে। তখন সুনসান তল্লাট ভেদ করে সরু নদী বেয়ে  ভাড়ার নৌকোয় যদি এদিক ওদিক তার সঙ্গে কিছুটা চলে যাওয়া যায়, কিছু কিছু গল্প হয়।  

কিন্তু মুক্তি নেই, কাজ শেষ হতে বিস্তর দেরি।  


(ক্যামেরা অন করলে, যেন দেখতে পাই। ফিক করে হেসে সরে গেলে যে? তাহলে কপালে এসে বসো। ঈশ্বর কাঠপিঁপড়ে পাঠিয়ে দেয়। ফুলন্ত জ্বলন্ত কপালে, হাফ নটরাজ হয়ে কৃষাণ সোরেন বাবুর কেরামতি দেখছিলাম, পুটুস করে তন্ময় ছবি তুলে নেয়।)   


Comments