চাবুক
একবার দুপুরবেলা ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে বড্ড বিপদ হয়েছিল। গোলপার্কে দেখা করে এদিক ওদিক যাব, কথা ছিল। কিন্তু উত্তরে যাব নাকি দক্ষিণে , পুবে নাকি পশ্চিমে—সে সব ভাবিনি। ভেবেছিলাম, দেখা হলে ঠিক হবে। পুজোয় প্রেমিকার সঙ্গে বেরিয়ে কী করা উচিত আর কী নয়, সে ব্যাপারে কোনও রকম ধারণা ছিল না (এখনও নেই)। হোমওয়ার্ক নেই। হোমওয়ার্ক যে করতে হয়, সেটাই তো ছাই জানতাম না। জানলেও করতাম না। আমাদের উদ্দেশ্য ছিল জলের মত সহজ। ঠাকুর দেখার নাম করে একবার দেখা হবে। আমি, তিনি এবং সে—শেষে দেখা হল। রামকৃষ্ণ মিশনের গেটে। তারপর সেখান থেকে গড়িয়াহাট আসতে না আসতে হাল হল নিদারুণ। নীল আকাশে সাদা মেঘ ভেড়ার মত চরছে। চকচকে প্রচণ্ড রোদ। ব্রহ্মতালু চিড় ধরে যায় যায় অবস্থা। কী করি কী করি করে—সবাই মিলে দৌড়ে একটা ভিড় বাসে উঠে পড়লাম। তাতেও কি সুখ আছে! এক আপদ টাইপের ছেলে নাকি মেয়ে মনে নেই— হড়হড় করে বমি করে দিল একদম পায়ের গোড়ায়। পুডিং পুডিং দেখতে। যাইহোক বহু কষ্ট করে লাগাতার ঠ্যালা খেয়ে সেই পুডিং-এর ছোঁয়া বাঁচাতে বাঁচাতে ঠিক হল, সিনেমা হলে ঢুকে পড়লেই ভালো। হাজরায় নেমে এর পর এই হল, সেই হল করে শেষ পর্যন্ত বিজলি।
বিজলিতে সেই
প্রথম। সেই শেষ। ব্যালকনিতে বসে দেখেছিলাম রঞ্জিত মল্লিক অভিনীত ছবি ঈশ্বর পরমেশ্বর,
গোটাটা । রঞ্জিত মল্লিক সবাইকে ধরে ধরে চাবুক পেটা করছিল। এরপরেও প্রেম টিকে থাকলে
সেটা মিরাকেল হত।
Comments
Post a Comment