চিমটি পর্বের সূচনা


 লেখক তো লিখেই খালাস। যা দৌড়োনো এর পর পাঠক দৌড়োয়। লেখাপত্তর যা কিছু বেঁচেবর্তে থাকে তা ঠাকুরের বেদি বা লাইব্রেরিতে নয়, আসলে সব পাঠকের মনে। সময়ে অসময়ে আয়েশে অবকাশে পাঠক সেই লেখাপত্তর নাড়াচাড়া করে, তারপর আবার যত্ন করে মনে রেখে দেয়। পাঠকের আদরে আদরে সে লেখা বড়ো হয়। পাঠকের মেধায় সেই লেখা তরতাজা ঘোড়ার মতো ছোটে। পাঠকের কল্পনায় শিমুল তুলোর মতো ভাসে। পাঠক বড়ো হয়, লেখা আরও বড়ো হয়। পাঠক আরও বড়ো হয়, লেখা তত দিনে আকাশ হয়ে ছেয়ে ফেলে।

এতক্ষণ যা লিখলাম সবই ভাবের কথা। এবার অভাবের কথা লিখি। পাঠকের অভাবে লেখার শ্রাদ্ধ হলে কি চুপ করে তামাশা দেখা যায়! সেই পাঠককে চিমটি কাটতে ইচ্ছা হয় কি না! এরপর তাই কয়েকটা পর্বে চিমটি চলবে। একটা নমুনা ছবি সাথে রাখলাম। এরা সবাই কাল্পনিক পাঠক। তাই গোসা করবেন না মাঈ বাপ!

Comments