…মগর ক্যাহনা ক্যায়া চাহতে হো
প্রবল দৌড় আর নিশ্চিন্ত ঘুমের মাঝে কোথাও যদি ল্যান্ড
করতে হয়, তখন একটা চেয়ারের খোঁজ পড়ে। অর্ধেক কাজ, আর অর্ধেক ল্যাদ—এই হল চেয়ার। এখন
যেখানে থেবড়ে বসে এই সব কথা লিখছি, সেটা সেগুন কাঠের পাকাপোক্ত একটা চেয়ার। আমাকে নিশ্চিন্তে লিখতে দিচ্ছে। এই ফেলে দিলুম—দিলুম কিন্তু,
বলে চাপে রাখছে না। দুর্বল চেয়ার হলে কী হত তা বলাই বাহুল্য। এ ক্ষেত্রে আমার ভাবনার ভাগীদার
এই চেয়ার, কোনও ভাগই
পাবে না! শুধু ভার তুলবে আর নামাবে। এমনই হয়ে থাকে। ইতিহাস সাক্ষী। তবে এ সব লিখছি বলে কেউ
আবার মনে করে বসবেন না, আমি ঠারেঠোরে বিরোধী দলের স্পেস, পরিবেশের ভারসাম্য, সামাজিক দায়বদ্ধতা,
পারিবারিক শান্তি ইত্যাদি নিয়ে কিছু না কিছু বলতে চাইছি। আসলে চেয়ারটাকে আজ একটু খাতির
করেছি। ধুলো ঝেড়েছি। খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখেছি, যত্নে তৈরি করা কাঠামোটা কাঠ হয়েও কোমল।
শক্ত হয়েও কত সাবলীল। অ্যাংগল মাপা নিখুঁত শৃঙ্খলার ডিজাইন। অথচ জলের মতো সহজ।
তবে আমি মোটেও বলছি না, আরামে বসার একটা জায়গা পাওয়া গেলে
ফিনফিনে ফুরফুরে বাঁচার ইচ্ছে জগদ্দল পাষাণের
মতো নিরেট হয়ে যায়। আমি মোটেও বলছি না, চেয়ার থেকে তখন আপনি আর নামতেই চাইবেন না! গ্যাঁট
হয়ে জমে যাবেন। শুধু এ চেয়ারটার কারিগরের জন্য মায়া মতো হচ্ছে— কী করি বলুন তো! এক
কচি শাগরেদকে নিয়ে তিনি খুটখুট করে আসতেন। খুটখুট করে কাজ করতেন। খুটখুট করে চলে যেতেন।
কোনও দিন কোনও চেয়ারে বসতে দেখিনি। খুটখুট করে সেই বৃদ্ধ শেষ পর্যন্ত কোথায় গিয়ে ল্যান্ড
করলেন! খুব জানতে ইচ্ছা করে! আবার যেন ভাববেন না যে আমিই গাইছি। গাইছেন মান্না, মাইকে—
কেন, কোথায় সেসব বলতে পারব না!
Comments
Post a Comment