এখন সন্ধে সাতটায় বন্ধ
তিরিশ বছরের পুরোনো বন্ধুদের
সঙ্গে আহা উহু করাই যায়। বিশেষ করে প্যাচপ্যাচে গরমের বিকেলে লেকের ধারে পা ছড়িয়ে হাহা
হিহি করতে করতে হঠাৎ হালকা ঝড়ে গায়ের ঘাম শুকিয়ে গেলে-- আহা একটু বিয়ার হলে কী ভালোই
না হত! এমন ‘ভালো’ জীবনে বার বার হয়েছে। বারে গিয়েও হয়েছে। লেকের ধারেও হয়েছে। আবার
খারাপও হয়েছে। পাঁচ মেশালি নেশা করে লেকের লম্বা চেয়ারে নিদ্রা গিয়েছিলাম। নিদ্রা ভাঙল
খোঁচা খেয়ে। শক্ত মতো কী একটা দিয়ে একজন বুকে খোঁচাচ্ছে। ‘ঘড়ি খোল।’ আর একজন নিঃশব্দে
পকেট হাতাচ্ছে। এখন প্রকাশ্যে সে রকম ভালো হয় না। খারাপও হয় না। তাহলে কি হালকা করে
ভদকা হবে, জলের বোতলে! কোথা থেকে কিনব আর কোথায় মেশাব! ভাবতে ভাবতেই সন্ধে সাতটা। নিষ্ঠুর বেসুরো বাঁশিটা পিঁ পিঁ করতে করতে
এদিকেই আসছে। এবার? চিলড বিয়ারের বদলে মিষ্টি মিষ্টি গরম জল, যার পোশাকি নাম চা, সোনা
মুখ করে গিলছি। দোকানের মালকিন আদুরে গলায় বলছেন, এই গরমে বিক্রি নেই, আপনারাই প্রথম।
আচ্ছা, তাহলে আরেকবার খাই । ‘কাকু তোরা বড্ড অভাগা’-- মুখ ভেংচে কিশোর বিড়ালটা বন্ধ
গ্রিলের দরজা গলে তিড়িং-বিড়িং লেকের ভেতরে চলে গেল। বোধহয় জলের ধারে পা ছড়িয়ে বসে বিয়ার
খেতে। গুমটি চায়ের দোকানের ভিতরে কে নাকি স্বরে ‘না—না’ করছে! আরে শচীনকত্তা যে! না,
না আমারে শশী চেয়ো না--
সাউন্ডটা হালকা বাড়িয়ে দিন
তো!



Comments
Post a Comment