ছাগলের তৃতীয় পা
ছাগল চড়ে খায়, কিন্তু অতীশ দীপঙ্কর হয়ে তিব্বত ঠেলে ওঠার কথা ভাবে না। ভাবার দরকারটাই বা কি! সকালের দুবলা ছাগল, পরিপূর্ণ ছাগল হয়ে যদি সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরে—সেই যথেষ্ট। গৃহপালিত হওয়া তো খারাপ কিছু নয়। গৃহ বরাবর সুখের গুদামঘর। একতল, দ্বিতল, বহুতল গৃহ বানিয়ে এই যে গুষ্টি-সুদ্ধ সুখের সাধনায় মেতেছি, সে কি আজকের কথা! জানবেন বনের মানুষ, এই গৃহের টানেই অসভ্য বর্বর থেকে প্রোমোশন পেয়ে মানুষ হয়ে ঝপাং করে ডবল প্রোমোশন পেয়ে ছাগল হয়ে সাই সাই উড়োজাহাজ চড়েছে। এ চাট্টিখানি কথা! অসভ্য বর্বর থেকে ছাগল নিশ্চয়ই উৎকৃষ্ট, তার অনেক ফলোয়ার। তবে হ্যাঁ—ছাগল যেহেতু বাগানবিরোধী তাই একটু গোলমাল হয়ে যাচ্ছে—এই যা। মানে বাগান যদি হয় অসভ্যের সভ্য হয়ে ওঠার চেষ্টা, তবে ছাগল পর্যায়ে সেই চেষ্টার বিনাশ হচ্ছে। প্রথমে নিজেরটা, পরে অন্যের বাগানটা যাচ্ছেতাই ভাবে মুড়িয়ে খাচ্ছে। সভ্যতার সাথে ছাগলামির সম্পর্ক সমানুপাতিক আর একই সাথে ব্যস্তানুপাতিক—আলোচনার ইচ্ছে ছিল। কিন্তু বিকট ভারী এই বিষয়টার ভার টানা এই ফ্যাতফ্যাতে বইয়ের কম্ম নয়। ‘ছাগলের তৃতীয় পা’ নামে যেমন, কামেও তেমন। ভাঙা কল থেকে অবিরাম অপচয় হয়ে যাওয়া জলের মতো পাতি এর বিষয় ভাবনা। ঢক করে গিলে নিলেই চলবে। তার আগে অবশ্যই দু ফোঁটা জিয়োলিন ফেলে দিতে হবে—পেট ব্যাটা স্বভাবে গদ্দার।
Publisher: The Cafe Table
Comments
Post a Comment